রাজনীতি ও অর্থনীতি জগতের শীর্ষ নেতা, বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদ সকলেই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্ত্রা প্রভাব নিয়ে শংকিত। বিশেষজ্ঞ্রা বলছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি নির্বাচনের মতো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। মানবতার অস্তিত্বে হুমকির কারণও হয়ে উঠতে পারে এ প্রযুক্তিটি। সম্প্রতি জেনারেটিভ এআইয়ের বিস্তার নিয়ে আগ্রহ ও শঙ্কা উভয়ই বেড়েছে, যেখানে শুধু প্রম্পটের মাধ্যমেই বিভিন্ন টেক্সট, ছবি ও ভিডিও তৈরি করা যায়। এর সম্ভাব্য শঙ্কাগুলোর মধ্যে রয়েছে চাকরির বাজারে ধাক্কা, নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করা এমনকি মানুষের সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঝুঁকিও। অন্যদিকে ২০২৪ সালে যেহেতু গোটা বিশ্বে অনেকগুলো নির্বাচন অনুস্টহিত হবে সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো গণতন্ত্রে হুমকি। এ প্রযুক্তি বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে ঝুঁকিও বাড়ছে –এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটির সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা।
সম্প্রতি দেশটির ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার’ (এনসিএসসি) বলেছে, এআই এর মাধ্যমে সম্ভবত ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করবে। পাশাপাশি, আগামীতে যুক্তরাষ্ট্র’সহ পশ্চিমা দেশগুলোর নির্বাচনে এ প্রযুক্তির অনৈতিক ব্যবহারের ঝুঁকিও রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিজিএইচকিউর অংশ এনসিএসসি। সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক বার্ষিক পর্যালোচনায় এনসিএসসি সতর্কবার্তা দিয়েছে, ভোটারদের প্রভাবিত করতে বাস্তবসম্মত ডিপফেইক ভিডিও ও ভুল তথ্য ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, “যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে কাগজের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে এতে হস্তক্ষেপ করা জটিল হয়ে উঠলেও এআই প্রযুক্তির যুগে আমরা প্রথমবারের মতো নির্বাচন আয়োজন করছি।” এর মধ্যে রয়েছে ভুলভাবে উপস্থাপন করা অনলাইন পোস্ট ও ডিপফেইক ভিডিও, যা সামাজিক মাধ্যমে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে।
নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক গ্যারি মার্কাস বলেন, আগামীর নির্বাচন গুলোতে ডিপফেইকের মতো প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে না, এমন সম্ভাবনা কম বা একেবারে শূন্যের কাছাকাছি।”বেশ কয়েক বছর ধরে ‘সিন্থেটিক মিডিয়ার’ উপস্থিতি দেখা গেলেও একসময় যে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য লাখ লাখ ডলার খরচ হতো, সেটা এখন কেবল তিনশ ডলার খরচ করেই বানানো সম্ভব বলেও জানান মার্কাস।