চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৮ লাখেরও বেশি মানুষ।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।
এর আগে মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্যায় মোট মৃতের সংখ্যা ছিল ২৭ জন। আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৬ লাখ।
আজ সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জানান, ১১টি জেলায় ১২ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৪ টি পরিবার পানিবন্দি এবং ৫৮ লাখ ২২ হাজার ৭৩৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত। এ ছাড়া মোট ৩১ জন মারা গেছেন। যার মধ্যে কুমিল্লা-১২, ফেনী- ২, চট্টগ্রাম-৫, খাগড়াছড়ি-১, নোয়াখালী-৬, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-১, লক্ষীপুর-১ ও কক্সবাজারে ৩ জন।
তিনি আরো জানান, পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আশ্রয় প্রদানের জন্য মোট ৪,০০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫১০ জন মানুষ এবং ৩৯ হাজার ৫৩১টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৬১৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে আমরা পেয়েছি, দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা আমরা পাইনি। সে হিসেবে বলতে পারি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
তিনি বলেন, দেশের সকল জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারি বেসরকারিসহ সকল পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
আলী রেজা জানান, বন্যা আক্রান্ত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।