গ্রেফতার নয়; মূলত গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তথ্য প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি ও মেট্রোনেট প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আলমাস কবীর। সূত্রমতে, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তিনি বাসাতেই ছিলেন।
মূূলতঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরে দিনমজুর আক্তার হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় ৮২ জন বিবাদীর মধ্যে সৈয়দ আলমাস কবিরের নাম ছিলো। ফলে, হাত কড়া পড়ে নয়, নিজ থেকেই তিনি বিকেলে সিএমএম আদালতে গিয়ে জামিন নিয়েছেন। আদালতে ঘটনার সময় বিদেশে থাকার প্রমাণও জমা দিয়েছেন।
গত ৫ আগষ্ট ক্ষমতা ছেড়ে যেদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান সেদিনই সৈয়দ আলমাস কবির বেশ কিছু দিন ধরে বিদেশে সফর শেষে দেশে ফেরেন। সঙ্গত কারণেই এই মামলার সঙ্গে সরাসরি তার কোনো সংশ্লিষ্ট না থাকায় আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।
জানাগেছে, ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইদুল ইসলাম ফরওয়ার্ডিং রিপোর্ট দেওয়ার পর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. বেলাল হোসেন আলমাস কবীরকে জামিনের আদেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি। অন্যদিকে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ঘটনার সময় তার মক্কেল বিদেশে ছিলেন উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে সকালে গ্রেফতারের খবর রটলে সৈয়দ আলমাস কবিরকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে বিষয়টি বিভ্রন্তিকর হিসেবে নিশ্চিত হওয়া যায়। এমন ঘটনায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রযুক্তি খাতের ব্যাক্তিবর্গদের নামে মিথ্যা এবং সাজানো এসব মামলা প্রত্যাহার না করলে এই খাত অস্তমিত হতে শুরু করবে।