বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে একদল শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা তার কার্যালয় ও বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এর আগে ক্যাম্পাসের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, মেয়াদ শেষ হলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে আওয়ামী ঘরানার রেজিস্ট্রারকে বহাল রেখেছেন উপাচার্য। তারা দাবি করেন, তিনি গোপন সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ২৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলায় জড়িত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আগাম জামিন পেলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নিয়ম লঙ্ঘন করে দুই সিন্ডিকেট সদস্যকে বাদ দিয়ে আওয়ামী পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে সিন্ডিকেট সভা আয়োজনেরও অভিযোগ ওঠে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক সেবনের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা বলেন, ছয় মাস আগে দেওয়া ২২ দফা দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে তারা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
এক আন্দোলনকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, “আগের আন্দোলনে ২২ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল, যা উপাচার্য পূরণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন করেননি। তাই আমরা এবার কোনো ব্যাখ্যা চাই না, শুধু তার পদত্যাগ চাই।”
অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন জানান, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেছি। এখন ক্যাম্পাস যখন শান্ত, তখন অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চলছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই। সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে এবং তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।”
এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।