বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় খেলাধুলাকে সমর্থন করেন। বিশেষ করে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের উৎসাহ জোগাতে অনন্য ভূমিকা রেখে আসছেন নিয়মিত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির পরেও সংবাদ সম্মেলনে আগলে রাখলেন। আর এমন খবরে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পাচ্ছেন অনুপ্রেরণা।
আগামীকাল (১৯ নভেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। তার আগে আজ (১৮ নভেম্বর) সিরিজ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা প্রসঙ্গে কথা বলেন রিয়াদ।
তার ভাষ্যমতে, ‘এটা আমি শুনেছি ও দেখেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। উনার কথা আমাদের আরও অনেক অনুপ্রাণিত করবে। সত্যি কথা বলতে, আমাদের দলের জন্য এটা অনেক ইতিবাচক একটা কথা।’
‘উনি যেভাবে আমাদের সবসময় অনুপ্রাণিত করেন, যেভাবে আগলে রাখেন, যেভাবে সাপোর্ট করেন, এটা অবিশ্বাস্য। এজন্য তাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা এতটুকু নিশ্চিত করব যেন নিজেদের শতভাগের বেশি দিয়ে খেলার চেষ্টা করতে পারি।’
এর আগে গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সমর্থন জুগিয়ে বলেন,
‘আপনারা এত হতাশ হন কেন? আমি এই হতাশা দেখতে চাই না। কয়েকটা খেলা তো ওরা চমৎকার খেলেছে। ক্রিকেট খেলেছেন কখনো? মাঠে গিয়েছেন? ব্যাট-বল ধরেছেন কখনো? ধরেননি… সেই জন্য জানেন না।’
‘কখন যে ব্যাট-বলে ঠিকমতো লাগবে, ছক্কা হবে এটা সব সময় সব অঙ্কে মেলে না। এটা বাস্তব কথা। যেটা আশা করেছিলাম সেটা হয়নি। আমি কিন্তু আমাদের ছেলেপেলেদের কখনো হতাশ করি না। তাদেরকে আমি বলি আরো ভালো খেলো, আরো মনোযোগী হও, অনুশীলন করো।’
‘একে তো করোনার সময় অনুশীলন করতে পারেনি। তারপরও বাংলাদেশ যে আজ বিশ্বকাপে খেলছে, বেশ কয়েকটি দেশকে হারাতে পারছে এটাও তো সবচেয়ে বড় কথা। বিশ্বকাপে খেলছে এটাও বড় কথা। যেটুকু পারছে সেটাই…।’
‘আমি চাচ্ছি তাদের আরো উন্নত ট্রেনিং করাতে। যেন আরো ভালো খেলতে পারে। কথায় কথায় হতাশ হওয়া যাবে না। এটা আবার আমাদের মানসিক রোগের মতো হয়ে গেছে। একটুতেই হতাশ। আবার একটুতেই উৎফুল্ল। বেশি উৎফুল্ল হওয়া ভালো না আবার বেশি হতাশ হওয়া ভালো না। মাঝামাঝি ধৈর্য ধরে থাকি। আগামীতে নিশ্চয়ই ভালো করবে।’