যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ও ব্যবসা গবেষণা কেন্দ্রের (সিইবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৮তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।
সিইবিআর এর প্রতিবেদন অনুসারে, অর্থনীতির আকার ২০২০ সালে ৩ শ’ ১ বিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় তিন গুণ বেড়ে ২০৩৫ সালে ৮ শ’ ৫৫ বিলিয়নে পৌঁছবে।
তাদের বিশ্ব অর্থনৈতিক লীগ টেবিলের সর্বশেষ সংস্করণ দেখানো হয়েছে, ওই সময়ের পূর্বেই বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার এক ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
১৯৩ টি দেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে বার্ষিক লীগ টেবিলে পরামর্শদাতা গ্রুপটি বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও বাংলাদেশ ২০২০ সালে সংকোচন এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
২০২০ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ।
জিডিপির অংশ হিসেবে সরকারী ঋণ ২০২০ সালে ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২০ সালে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
সিইবিআর মনে করছে যে, ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির বার্ষিক হার গড়ে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছাবে। এ সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে বছরে গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২০ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু ৫ হাজার ১ শ’ ৩৯ মার্কিন ডলারের ক্রয় ক্ষমতা সমতা-অ্যাডজাস্টেড জিডিপি ছিল। এতে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দেশে করোনায় ৭ হাজার ৫২ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। মৃত্যু হার প্রতি ১ লাখ জনে চারজন।
মহামারীর কারণে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি তুলনামূলকভাবে কম হলেও বিশ্বব্যাপী চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থার উপর এই প্রকোপের প্রভাব অর্থাৎ অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি লক্ষণীয়।
সিইবিআর জানায়, বিশ্ব ব্যাংকের ২০২০ সালের ইজ অফ ডইং বিজনেস র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে ১৬৮তম।