বিশ্বজুড়ে চলছে কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম। এরই মধ্যে বেশির ভাগ ধনী দেশ পর্যাপ্ত সংখ্যক নাগরিককে টিকাদানের আওতায় নিয়ে এসেছে। দেশগুলোয় বুস্টার ডোজ প্রয়োগও শুরু হয়েছে। তবে পিছিয়ে রয়েছে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো। বিশ্বজুড়ে টিকার এ ব্যবধান কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। টিকা উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে কয়েকশ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতি বছর আরো ১০০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে কভিডের টিকা সরবরাহে বৈষম্যের জন্য দেশ ও দেশের বাইরে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখোমুখি হয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বুস্টার ডোজ অনুমোদনের পথে থাকলেও দরিদ্র দেশগুলো নাগরিকদের জন্য প্রথম ডোজই নিশ্চিত করতে পারেনি।
হোয়াইট হাউজের কভিড-১৯ বিষয়ক সমন্বয়কারী জেফ জিয়েন্টস জানিয়েছেন, সরকার এমআরএনএ টিকা প্রস্তুতকারকদের সুযোগ-সুবিধা, সরঞ্জাম, কর্মীদের প্রশিক্ষণসহ অবকাঠামো ও সক্ষমতা বাড়াতে যথেষ্ট সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্না এমআরএনএ টিকা উৎপাদন করে। জিয়েন্টসের মতে, এ বিনিয়োগ পাওয়ার তালিকায় কোম্পানি দুটির সহযোগীরাও অন্তর্ভুক্ত হবে। ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তিনি বলেন, টিকা উৎপাদনে এ বিনিয়োগ একটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের অংশ। এ উদ্যোগ দেশে ও বিশ্বজুড়ে টিকা চাহিদা মেটাতে এবং ভবিষ্যৎ মহামারীর প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে।