দেশের অস্থিতিশীলতার সুযোগে বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপের বিষয়ে সরকারের দুর্বলতা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার নির্জন হত্যাকাণ্ডের ১ মাস আগে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্ত হয়েছেন। জেল থেকে বের হয়েই এরা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলল। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ আমাদের সবার, কোনো দলের নয়, কোনো ব্যক্তির নয়। দেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বার্থে যা করা প্রয়োজন, তাই করতে হবে।
শনিবার রাতে নিহত সেনা কর্মকর্তা তানজিম সরোয়ার নির্জনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে টাঙ্গাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে দুটি বিষয়ে রোডম্যাপ দিয়েছি। প্রথমটি হচ্ছে সংস্কার করা। সংস্কারটা সফল হলে পরবর্তীটি- নির্বাচন হতে হবে। প্রথমটি সফল না হলে দ্বিতীয়টি ব্যর্থ হবে। আমরা কোনো ব্যর্থ নির্বাচন চাচ্ছি না। আমরা চাচ্ছি সফল ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। মেধার মূল্যায়ন করতে হবে। মেধার অবমূল্যায়ন হবে কেন। একটা সময় সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কথাবার্তায় আন্দোলনকারীদের শরীরে আগুন ধরে যায়।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, তিনি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি পালিয়ে গিয়েছেন এটা আমি বলতে চাই না। কারণ একজন রাজনীতিবিদের বিষয়ে একথা বললে আমার নিজেরই লজ্জা লাগে। তিনি সরে গিয়েছেন, নিশ্চয় তিনি উপলব্ধি করেছেন দেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে না। তিনি গিয়েছেন, জাতি মুক্ত হয়েছে। তিনি যদি অপরাধী হন তাহলে তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা কারও ওপর প্রতিশোধ নেব না, আইন হাতে তুলে নেব না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কে ষড়যন্ত্র করছেন, এটা বড় কথা নয়। জাতি এখন মজবুত হাতে ঐক্যবদ্ধ। তারা গোটা যুবসমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গণহত্যা করেছেন। নৈতিক দিক থেকে তারা পরাজিত হয়েছেন। তাদের নিজেদেরই মূল্যায়ন করতে হবে, তারা রাজনীতি করার কোনো অধিকার রাখেন কিনা।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম খান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, জেলা সেক্রেটারি হুমায়ুন কবীর, জেলা সহকারী সেক্রেটারি হোসনী মোবারক বাবুল ও শফিকুল ইসলাম খানসহ দলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।