শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের চলতি হিসাবে টাকার ঘাটতি থাকায় সতর্ক করে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক রোববার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানান, চিঠিতে অর্থ ঋণাত্মক থাকার বিষয়ে সতর্ক করা হলেও লেনদেন বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক সরোয়ার হোসেন, সাঈদা খানমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাঁচ ব্যাংক হলো-ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
মেজবাউল হক বলেন, ‘ইসলামি ব্যাংকগুলোর সিআরআর এবং এসএলআরের বেশিরভাগ টাকা রাখতে হয় নগদে। যে কারণে সিকিউরিটিজ থাকে খুব কম। এর আগে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে কোনো সিকিউরিটিজ ছাড়া একই উপায়ে ধার দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় এ নিয়ে চিঠি দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর কাঠামোগত সমস্যার কারণে কিছু ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়েছে। এ নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুখপাত্র জানান, এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য। এরপর বহিস্থ চাপ থেকে বের হয়ে এলে সংকটে পড়া ব্যাংকের সুশাসন নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’
বছরখানেক ধরে বিধিবদ্ধ তারল্য রাখতে না পারায় সম্প্রতি শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ইসলামি ব্যাংককে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘বিএসিএইচ সেটেলমেন্ট জটিলতা প্রসঙ্গ’ শিরোনামের ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনাদের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে চলতি হিসাবের স্থিতি ঋণাত্মক, যা স্বাভাবিক ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিষয়টি বারবার আপনাদের গোচরীভূত করা হলেও এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় পত্র পাওয়ার ২০ কর্মদিবসের মধ্যে আবশ্যিকভাবে আপনাদের চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয়ের পরামর্শ দেওয়া হলো।’