নানা অনিয়মে জর্জরিত আলোচিত সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে শোকজ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বার্তা৭ কে এ তথ্য জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
মূলত ইভ্যালির থেকে প্রতারনার শীকার হওয়া গ্রাহকদের সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি মামলা ভোক্তা অধিকারে এখনও চলমান আছে। সেগুলো নিষ্পত্তি না করেই তারা আবারও ব্যবসা শুরু করেছে। এর কারণ জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চিঠিতে ইভ্যালিকে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এবং মামলা নিষ্পত্তি না করে কীভাবে তারা ক্যাম্পেইন শুরু করল তাদের কাছে সেটিই জানতে চাওয়া হয়েছে।
এদিকে রাসেলের বিগ ব্যাং ঘোষনার পর পরই জনমনে আবার আতঙ্ক তৈরি হয়। অনেকেই ধারনা করছেন, আবারও রাসেল পূর্বের ন্যায় জালিয়াতির আশ্রয় নেবে। একই সঙ্গে টাকা দিয়ে পণ্য না পাওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে গ্রাহকের মনে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ডিজিটাল ই-কমার্স পরিচালন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি জানিয়েছিল যে, গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে ইভ্যালির দেনা মোট ৫৪৩ কোটি টাকা।
রাসেলের নতুন করে ব্যাবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে নজর রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিসিএ)। তারই ধারাবাহিকতায় ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় এ শোকজ দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিএমপিসিএ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমরা চাই কোনভাবেই যেন গ্রাহক প্রতারিত না হয়। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি কিভাবে মানূষকে ঠকিয়েছে এসব পঞ্জিস্কিমে ব্যাবসা পরিচালনাকারীরা।
নতুন অফারে অনেক ক্রেতা পন্য অর্ডার করে বায়াত্তর ঘন্টা পার হলেও পন্য হাতে না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।