রিকন্ডিশন্ড মোটরযান আমদানির ক্ষেত্রে অবচয় সুবিধা সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ করার দাবি করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় বারভিডার প্রেসিডেন্ট মো. হাবিব উল্লাহ ডন এ কথা বলেন।
বারভিডা প্রেসিডেন্ট বলেন, যেকোনো পণ্যের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে সর্বোচ্চ হারে মূল্যের অবচয় প্রদানের বিধান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। অবচয় প্রদানের উদ্দেশে বয়স গণনার ক্ষেত্রে আমদানি নীতি অনুযায়ী লিপিবদ্ধ বছর চলতি হিসাবে ধরা হয়। অবচয় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে বছরভেদে ও গাড়ির প্রকৃতিভেদে এক বছরের রিকন্ডিশন গাড়ি ০ শতাংশ, দুই বছরের পুরোনো গাড়ি ১০ শতাংশ, ২ বছরের অধিক হলে ২০ শতাংশ, ৩ বছর পর্যন্ত পুরোনো হলে ৩০ শতাংশ, ৪ বছরের পুরোনো হলে ৪০ শতাংশ ও ৫ বছর পুরোনো হলে ৫০ শতাংশ হারে অবচয় প্রদানপূর্বক রিকন্ডিশন গাড়ির শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব করেছি।
তিনি বলেন, এ প্রস্তাব বিবেচনা করা হলে গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি পাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এ বিধান কার্যকর ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বাজার তৃণমূলে সম্প্রসারিত হবে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
ডন বলেন, গণপরিবহনের তীব্র সংকটকালে বেশি সংখ্যক যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করে এর ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যকর এবং আধুনিক গণপরিবহনের সূচনা করা হয়েছে। আশা করি সামনের বাজেটেও উৎপাদন ও উন্নয়নে নিয়োজিত মানুষের জীবনধারাকে গতিশীল রাখতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মোটরগাড়িকে নীতি আনুকূল্য দেবেন।
অন্যদিকে পুরাতন হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সিসি স্ল্যাব ও সম্পূরক শুল্ক পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব দিয়ে বারবিডা বলছে, পুরাতন রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, হাইব্রিড গাড়ি যেমন পরিবেশের জন্য কল্যাণকর তেমনই জ্বালানি সাশ্রয়ী বিধায় রাষ্ট্র ও গ্রাহক উভয়ই উপকৃত হচ্ছেন। সিসি স্ল্যাব ৪০০০ সিসি পর্যন্ত করভার ২৮৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৪৪২.৬০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে তারা।
প্রস্তাবিত হারে বিবেচনা করা হলে উন্নত প্রযুক্তির পরিবেশ ও জ্বালানি সহায়ক হাইব্রিড গাড়িগুলির আমদানি সহজলভ্য হবে বলে মনে করে বারভিডা।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ডিউটি সাপোর্ট দিলে সেই সুবিধার অপব্যবহার হয়। আর অপব্যবহার হলে শিল্পের ক্ষতি হয়। এ কারণে সাপোর্ট দেওয়ার আগে আমাদের অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়।