শীতের আগমনে সাধারণত আমরা শীতের পোশাকের সাথে সাথে চুলের যত্নেও কিছুটা অবহেলা করি। ঠান্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়ায় চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ, শুষ্ক ও আঠালো। শীতে ঠান্ডার কারণে অনেকেই গোসল করার সময় মাথা ভিজতে দেন না, যার ফলে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। তবে এই শীতে চুলের যত্নে কিছু সহজ এবং প্রাকৃতিক উপায়ের মাধ্যমে আপনি ফিরে পেতে পারেন সুস্থ, সতেজ ও ঝলমলে চুল।
১. নারকেল তেল নারকেল তেল চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা চুলের ময়েশ্চারাইজিং করতে সাহায্য করে। কুসুম গরম নারকেল তেল চুলে ভালভাবে ম্যাসাজ করুন এবং এক ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। নারকেল তেল চুলের আঠালোভাব কমিয়ে চুলকে মসৃণ এবং সতেজ রাখে।
২. পেঁয়াজের রস পেঁয়াজের রসে পটাশিয়াম, জিঙ্ক ও সালফারের মতো উপাদান রয়েছে, যা চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। দুই চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করলে চুলের রুক্ষতা ও পড়া কমবে।
৩. অ্যালোভেরা জেল অ্যালোভেরা জেল চুলের জন্য একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক উপাদান। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং চুলকে মসৃণ ও সিল্কি করে তোলে। অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে জেল বের করে সরাসরি চুলে লাগান বা বাজার থেকে ভেষজ অ্যালোভেরা জেল কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এটি ব্যবহারে চুলের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
শীতে চুলের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শীতের তীব্রতা চুলের ক্ষতি করতে পারে। নারকেল তেল, পেঁয়াজের রস ও অ্যালোভেরা জেল এই শীতে প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নেয়ার অন্যতম পদ্ধতি। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের আঠালো ভাব ও রুক্ষতা দূর হবে এবং চুল হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যবান, মসৃণ এবং ঝলমলে।