ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকা দিনাজপুরে শীতের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। গত দুদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর সঙ্গে হিমেল হাওয়া যুক্ত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
শীতের কারণে সকাল থেকেই সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে। ঘরের বাইরে যাঁরা বের হচ্ছেন, তাঁরা নিতান্তই জরুরি প্রয়োজনে বা জীবিকার তাগিদে বের হচ্ছেন।
কৃষিকাজেও শীতের প্রভাব পড়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, “গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সূর্যের দেখা মিলছে না। বোরো ধানের জন্য জমি তৈরি করছি, কিন্তু শ্রমিক পাচ্ছি না। শীতের কারণে অনেকেই কাজে যেতে পারছে না।”
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার। তিনি আরও জানান, কুয়াশা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে এবং শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকবে।
দিনাজপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না অনেকেই। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগে। হাসপাতালগুলোতেও ঠান্ডাজনিত রোগীদের ভিড় বাড়ছে।
জেলার শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্নআয়ের মানুষ আরও কষ্ট পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
উত্তরাঞ্চলের এই জেলা শীতপ্রবণ অঞ্চলের একটি। প্রতিবছর এখানে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। তবে এবারের শীতের প্রকোপ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।