আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায়, আদালতটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
হোয়াইট হাউজের প্রকাশিত এক ফ্যাক্ট শিটে দাবি করা হয়েছে, আইসিসি ইসরায়েল ও হামাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ‘লজ্জাজনক নীতিগত সমতা’ তৈরি করেছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি ও ভিত্তিহীন’ তদন্ত পরিচালনার অভিযোগও আনা হয়েছে।
ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের ফলে আইসিসির তদন্তে সহযোগিতা করা ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করবে।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত আইসিসি যুগোস্লাভিয়া ও রুয়ান্ডার যুদ্ধাপরাধের প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়। গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালতটি, যা ইসরায়েল বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। একইসঙ্গে হামাসের এক কমান্ডারের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, আইসিসি ইরান ও ইসরায়েলবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর বিচার এড়িয়ে কেবল ইসরায়েলকেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। ট্রাম্প প্রশাসন আগেও আইসিসির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিল, বিশেষত আফগানিস্তানে মার্কিন যুদ্ধাপরাধ তদন্তের সময়।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির পদক্ষেপকে ‘জঘন্য’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ইসরায়েল ও হামাসকে একইভাবে দেখা যায় না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নীতির ইঙ্গিত দেয়। আইসিসির ওপর এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক তদন্ত ও বিচার ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে।