রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত ইসলাম, বামমঞ্চ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, ঘোষণাপত্র প্রণয়নে সবাই সম্মত হয়েছেন যে এটি রাজনৈতিক দলগুলো এবং ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে প্রণীত হবে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা গুরুত্বারোপ করেন যে, ঘোষণাপত্রে সবার অবদান নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ রাখতে হবে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের জন্য যত সময় প্রয়োজন, তা নেওয়া উচিত। তবে কোনো তাড়াহুড়ো কিংবা অযথা বিলম্ব যেন না হয়, সেই বিষয়েও সবাই সতর্ক করেছেন।”
ঘোষণাপত্রের কাঠামো এবং প্রকৃতি নিয়ে বৈঠকে বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে। অংশগ্রহণকারীরা রাজনৈতিক এবং আইনি দিক স্পষ্ট করার ওপর জোর দিয়েছেন। আলোচনায় আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে ঘোষণাপত্র প্রণয়নের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইন উপদেষ্টা জানান, “এই প্রস্তাব দ্রুত বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হবে।”
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার প্রশ্নে আসিফ নজরুল বলেন, “দলগুলোর মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই। বরং তারা একমত যে, ঘোষণাপত্রে সবার মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিতভাবে একটি ঐতিহাসিক দলিল তৈরির লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।