মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতন্ত্রকে কঠিন শৃঙ্খলে বন্দি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শক্তিকে সদা সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তারেক রহমান একুশে ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় জীবনের অবিস্মরণীয় অধ্যায় উল্লেখ করে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের এই দিনে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেক তরুণ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাদের এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে শুধু বাংলা ভাষার মর্যাদাই প্রতিষ্ঠিত হয়নি, বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পথ রচিত হয়েছে। একুশের চেতনা আমাদের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের ভিত্তি স্থাপন করেছে, যা পরবর্তীতে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত স্বাধীনতায় রূপ নেয়।
তিনি বলেন, “দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে নানা চক্রান্ত আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি এবং সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করছে আধিপত্যবাদী শক্তি। তাদের তাবেদারি করছে কিছু মহল, যারা চায় এদেশের মানুষ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ অতীতে যেমন অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও তারা গণতন্ত্র ও মানবিক অধিকার রক্ষায় লড়াই করে যাবে।”
তারেক রহমান বলেন, “গণতন্ত্রকে যাতে আর কেউ কঠিন শৃঙ্খলে বন্দি করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ন্যায়বিচার, মানবিক সাম্য ও প্রকৃত গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে একুশের অম্লান চেতনা আমাদের প্রেরণা জোগাবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয়তাবাদী চেতনা ও ঐক্যের অনুভূতি জাগ্রত করেছে। আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এটি বিশ্বব্যাপী মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
তারেক রহমান মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্মরণ করে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজিত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং ভাষাসৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সমৃদ্ধশালী করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তারেক রহমান।