জুলিয়াস কিভিমাকি নামের এক হ্যাকারের বিরুদ্ধে ৩৩ হাজার সাইকোথেরাপি রোগীর তথ্য হ্যাক করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ উঠেছে। ইউরোপের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অপরাধীর তালিকায় আছে এ তরুণ। খবর বিসিসি ও সময়নিউজ।
মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই হ্যাকিং শুরু করেন জুলিয়াস কিভিমাকি। জানা গেছে, তিনি ব্যক্তিগত সাইকোথেরাপি পরিষেবা ‘ভাসতামো’-এর সাইকোথেরাপির রোগীদের তথ্য (সেশন নোট) ডেটাবেস থেকে হ্যাক করতেন। এরপর ওই তথ্য ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতেন তিনি।
একই কায়দায় ১১ বছর ধরে ৩৩ হাজার সাইকোথেরাপি রোগীর ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক করে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন জুলিয়াস। এ কাজের জন্য তিনি নামহীন ই-মেইল ব্যবহার করতেন। চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল দেশটির আদালত তাকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
তদন্তে জানা গেছে, ভুক্তভোগীরা যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০০ ইউরো ‘মুক্তিপণ’ না দেন, তাহলে তাদের গোপন তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দেবেন বলে হুমকি দিতেন জুলিয়াস। পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ‘মুক্তিপণ’ না দিলে ৫০০ ইউরো মুক্তিপণ দাবি করতেন।
এদিকে বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলিয়াসকে দেশটির ওয়েস্টার্ন ইউশিমার ডিস্ট্রিক্ট আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।