চন্দ্র মিশনে নামছে চীন। লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে অবতরণ। চন্দ্রজয়ের এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এরইমধ্যে নতুন স্পেসস্যুট সামনে এনেছে দেশটি। বিশেষভাবে নকশার স্পেসস্যুটটি উন্মোচনের মাধ্যমে এ উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চীন। ক্রুরা বলছেন, এর মাধ্যমে মহাকাশ কর্মসূচিতে এক যুগান্তকারী মাত্রা যোগ হতে চলেছে।দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, সপ্তাহ শেষে উন্মোচন করা ‘চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সি (সিএমএসএ)’-এর নতুন লাল-সাদা রঙের স্পেসস্যুটটি তৈরিতে চাঁদের চরম তাপমাত্রা এবং বিকিরণ ও ধূলিকণা সহ্য করার বিষয়টি বিবেচনায় ছিল। কারণ, চাঁদের পৃষ্ঠে কাজ করার জন্য নভোচারীদের নমনীয়তা দেবে স্পেসস্যুটটি।
নতুন প্রযুক্তির স্পেসস্যুটটি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সাড়া ফেলেছে বিশ্বজুড়ে। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, এই স্পেসস্যুটটিতে আছে একটি বিল্ট ইন বড় ও ছোট পরিসরের ক্যামেরা, একটি অপারেশন কনসোল ও একটি গ্লেয়ার-প্রুফ হেলমেট ভিসার।
চীনের সুপরিচিত নভোচারী ঝাই ঝিগাং ও ওয়াং ইয়াপিং দেখান স্যুট পরা নভোচারীরা কীভাবে প্রয়োজন মতো বাঁকতে ও সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারেন।
এদিকে স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক ক্যাপশন’সহ ভিডিওটি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করেছেন।
মহাকাশ গবেষনা সংস্থা নাসা বলেছে, চাঁদে তাদের নভোচারী ‘২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের আগে পাঠানো সম্ভব হবে না’। তবে চলমান প্রযুক্তিগত সমস্যা ও বড় বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে কোন দেশ প্রথমে চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।